Monday, December 30, 2019


       International Law and Justice


পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কায়েম করতে হলে এখন আমার লাগবে ওয়াটার হিটার কিছু কি বুঝলে?
All City game leaders surrender to win. This is my love logical law rules problem. I can solve my love logical law rules problem. Love logical Law ruls problem solving medical test condom therapy no mouth wash. Because husband and waif. Update: 12/5/2020 Past is past.

জামিন কী, আগাম জামিন কখন নেওয়া যায়

ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় জামিন একটি বহুল প্রচলিত পরিভাষা। সাধারণত গ্রেফতার বা আটকের পর আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়েও জামিনের আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির থাকার শর্তে জামিনদারের জিম্মায় এ ধরনের মুক্তি দেওয়া হয়।

 

জামিন কী 

অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনগত হেফাজত থেকে মুক্তি হলো জামিন। পুলিশ বা আদালতের হেফাজত থেকে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির থাকার শর্তে জামিনদারের জিম্মায় নির্দিষ্ট পরিমাণ জামানত প্রদানের প্রতিশ্রুতি সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হয়।

চূড়ান্ত বিচারের পূর্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অনেক ক্ষেত্রে আইনগত হেফাজতে নেওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, কখনো তদন্ত প্রভাবিত যাতে করতে না পারে সেজন্য আইনগত হেফাজতে নেওয়া হয়। সেটা পুলিশ বা আদালত যেকোনো হেফাজতে হতে পারে। বিচার চলাকালেও অপরাধের ধরন অনুযায়ী আসামিকে আদালতের হেফাজত বা জেলহাজতের রাখা হয়। এ ধরনের আইনগত হেফাজত থেকে কাউকে ছেড়ে দেওয়াই জামিন। বিচার শেষে সাজা হলে আসামি কারাগারে থাকলে আপিলের পর  আদালত জামিন দিতে পারেন। জামিন বিষয়ে আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৬ ও ৪৯৭ ধারায় আলোচনা করা হয়ছে। জামিন অযোগ্য ধারায় তদন্ত বা বিচারে বিলম্বের কারণেও আদালত জামিন দিতে পারেন। 

 

 জামিনযোগ্য অপরাধে জামিন

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৬(৪) (খ) ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- এমন একটি অপরাধ যা (ফৌজদারি কার্যবিধির) দ্বিতীয় তফসিলে জামিনযোগ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে অথবা যা বর্তমানে বলবৎ কোনো আইন দ্বারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী জামিনযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন পাওয়া আইনগত অধিকার। এ ধরনের অপরাধে গ্রেফতার ব্যক্তি জামিন চাইলে এবং জামিনদার দিতে প্রস্তুত থাকলে তাকে জামিন দেওয়াটা আদালতের জন্য বাধ্যকর।

 

জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন

জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন দেওয়া আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা। ৪৯৭ ধারা অনযায়ী মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অপরাধে অপরাধী হওয়ার মতো বিশ্বাসযোগ্য কারণ ব্যতীত আদালত এই বিবেচনা প্রয়োগ করতে পারেন। তবে সবধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে তিনটি কারণে জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন দেওয়ার বিষয় বিবেচনার ক্ষমতা আদালতকে দেওয়া হয়েছে। কারণগুলো হলো- ১৬ বছরের কম বয়স্ক, স্ত্রীলোক ও পীড়িত বা অক্ষম ব্যক্তি।

 

তদন্তে বিলম্বের কারণে জামিন

জামিন অযোগ্য মামলায় তদন্তে ১২০ দিনের বেশি বিলম্ব হলে আদালত জামিন দিতে পারেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ (৫) ধারার বিধান মতে, অপরাধ সংঘটনের ব্যাপারে সংবাদ পাওয়ার তারিখ হতে অর্থাৎ মামলা দায়ের থেকে অথবা তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ পাওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হলে অপরাধটি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা দশ বছরের বেশি মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হলে দায়রা আদালত এবং অনান্য ক্ষেত্রে অপরাধ আমলে নেওয়ার এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট স্বীয় সন্তুষ্টি মোতাবেক শর্তে জামিনে মুক্তি দিতে পারেন।

বিচারে বিলম্বের কারণে জামিন

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৯ গ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রে বিচারকার্য সমাপ্ত করার সময় ১৮০ দিন এবং দায়রা আদালত কর্তৃক বিচারকাজ নিষ্পত্তির সময় ৩৬০ দিন। এই সময়ের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি না করা গেলে এই ধারা অনুযায়ী বিচারিক আদালত জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন দিতে পারেন।  

হাইকোর্ট ও দায়রা আদালত কর্তৃক জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন

জামিন অযোগ্য যেকোনো অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা আদালত জামিন দিতে পারেন। এ বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘দণ্ডের পর আপিল থাকুক আর না থাকুক হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালত যেকোনো ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর করিবার আদেশ দিতে পারেন। ’ নিম্ন আদালতের জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে এই ধারায় ফৌজদারি বিবিধ (সিআর মিস) মামলা দায়ের করে জামিন চাওয়া হয়। 

আগাম জামিন কখন নেওয়া যায়

আগাম জামিনের জন্য আইনে আলাদা কোনো বিধান নেই। হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিনের দরখাস্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারাতেই করা হয়। মূলত, পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার বা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের পূর্বেই হাইকোর্ট বিভাগ সীমিত একটি সময়ের জন্য আগাম জামিন মঞ্জুর করে থাকেন।আগাম জামিনের ক্ষেত্রে, আপাত দৃষ্টিতে জামিন পাওয়ার মতো যুক্তি সঙ্গত ভিত্তি থাকতে হবে বা জামিন দেওয়া না হলে তিনি অন্যায়ের শিকার হতে পারেন মর্মে আশঙ্কা থাকতে হবে। আগাম জামিন আদালতের বিবেচনায় বিশেষ ও ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে মঞ্জুর করা হয়। তদন্ত চলাকালে এমনকি চার্জশিট দাখিলের পরও আগাম জামিন নেওয়া যায়। তবে আগাম জামিনের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করে নিয়মিত জামিন নিতে হয়। 

লেখক: অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট 

মানহানির মামলা কীভাবে করবেন ?

ধরুন, কোনো ব্যক্তি আপনাকে নিয়ে লোকজনের কাছে আজেবাজে মন্তব্য করছেবা কুৎসা রটাচ্ছে। এতে আপনি মানহানির শিকার হলেন। এখন ভাবছেন, আপনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু কীভাবে  আইনি প্রতিকার পাবেন, তা জানেন না।এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়।

মানহানির অভিযোগ এনে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা বা মোকদ্দমা করা যায়। ফৌজদারি আদালতে মানহানির মামলা করার ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। সে অভিযোগ শুনে আদালত অভিযোগ থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমন জারি করতে পারেন। তবে মানহানির মামলায় সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় না। সমন দেওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি আদালতে হাজির না হন, সে ক্ষেত্রে বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় মানহানি কিসে হবে আর কিসে হবে না,তা বিস্তারিত বলা আছে। এ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বা এমন হবে জেনেও উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান প্রতীকের সাহায্যে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এমনভাবে কোনো নিন্দা প্রণয়ন বা প্রকাশ করে, তাহলে ওই ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে ধরা হবে। এমনকি মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে বললেও তা মানহানি হবে। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন মানহানির অভিযোগ আনতে পারবেন। আইনে এমন কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যখন কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির নামে মানহানিকর কিছু বললে, লিখলে বা প্রচার করলেও মানহানি হবে না। যেমন:

১. জনগণের কল্যাণে কারও প্রতি সত্য দোষারোপ করলে মানহানি হবে না।

২. সরকারি কর্মচারীর সরকারি আচরণ সম্পর্কে সৎ বিশ্বাসে অভিমত প্রকাশ করলে তা মানহানির শামিল হবে না।

৩. সরকারি বিষয়-সংশ্লিষ্ট প্রশ্নে কোনো ব্যক্তির আচরণ নিয়ে মত প্রকাশ করলে মানহানি নয়।

৪. আদালতসমূহের কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা মানহানির অন্তর্ভুক্ত হবে না।

৫. যেকোনো জনসমস্যা সম্পর্কে ও কোনো ব্যক্তির আচরণ সম্পর্কে সৎ বিশ্বাসে অভিমত প্রকাশ করা মানহানির শামিল নয়।

৬. আদালতে সিদ্ধান্তকৃত মামলার দোষ, গুণ বা সাক্ষীদের সম্পর্কে বা অন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আচরণ সম্পর্কে অভিমত মানহানির পর্যায়ে পড়বে না।

৭. গণ-অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানাদি সম্পর্কে কোনো মতামত দেওয়া মানহানি নয়।

৮. কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তির কাছে সৎ বিশ্বাসে কারো সম্পর্কে অভিযোগ করা হলে সেটিও মানহানি হবে না। যেমন: পুলিশের কাছে কারো ব্যাপারে সৎ বিশ্বাসে অভিযোগ।

৯. কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার বা অন্য কারো স্বার্থ রক্ষার্থে দোষারোপ করা মানহানি নয়।

১০. জনকল্যাণার্থে সতর্কতা প্রদানের উদ্দেশ্যে কারো সম্পর্কে কিছু বলা হলে মানহানি হবে না। 

দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির শাস্তি বর্ণনায় বলা হয়েছে,এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ড হতে পারে। 

অন্যদিকে দণ্ডবিধির ৫০১ ও ৫০২ ধারা অনুসারে, মানহানিকর বলে পরিচিত বিষয় মুদ্রণ বা খোদাইকরণ সম্পর্কে এবং এর শাস্তি বর্ণিত হয়েছে।

লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

 বাড়ি ভাড়া বাড়ালে আইনি পদক্ষেপ কি?

পাঠকের প্রশ্ন : আমি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। আমার অফিস রাজধানীর মতিঝিলে। আমার দুই ছেলে সন্তান আছে। তারা মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে পড়াশোনা করে। এ কারণে আমি গত বছর মতিঝিলে বাসা ভাড়া নেই। বাড়িওয়ালা গত ৬ মাস আগে আমার বাসা ভাড়া বাড়িয়েছেন। এখন আবার ৬ মাস পরে আবারো বাসা ভাড়া বাড়ানোর কথা বলছে। আমি তা দিতে অসম্মতি জানালে বাড়িওয়ালা আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছেন। আমার ছেলে যেহেতু লেখাপড়া করে তাই এ মুহূর্তে বাসা পরিবর্তন করা খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। আমি এখন বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে কি ধরনের আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারি ?   

আইনজীবীর উত্তর : বাড়িওয়ালা যদি ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে তাহলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন। বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহন করতে পারবেন।

বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া বাড়াতে পারবেন। তবে তা-ও হতে হবে যুক্তিসঙ্গত।

এছাড়া বাড়িওয়ালা কোনো কারণে ভাড়া গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে ভাড়াটিয়াকে চুক্তি অনুযায়ী সময়ের মধ্যে অথবা চুক্তি না থাকলে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।

মানি অর্ডারযোগে প্রেরিত ভাড়ার টাকাও যদি বাড়িওয়ালা গ্রহণ না করেন, তাহলে ওই টাকা ফেরত আসার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে ভাড়া নিয়ন্ত্রক, অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে।

এ জন্য একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে। ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেওয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা আদালতে জমা দেওয়া যাবে এবং তা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেওয়া যাবে।

আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি হিসেবে বলার সুযোগ থাকবে না।

বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তি করে নিন। সেই চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেওয়া হলো এবং করণীয় কী, সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।

চুক্তিপত্রে ভাড়া কখন বাড়ানো যাবে এবং তা কোন হারে বাড়বে, অগ্রিম কত জমা দিতে হবে, কখন বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছাড়তে বলতে পারেন, ভাড়াটিয়া কখন বাড়ি ছাড়বেন, তা অবশ্যই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করতে হবে।

আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

এডভোকেট

বাংলাদেশ, সুপ্রীমকোর্ট

মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে কী আছে?

মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের প্রথম পর্বে পুত্রের কন্যা (নাতনি) পর্যন্ত উত্তরাধিকার আইন সম্বন্ধে এনটিভি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় পর্বে বাকি অংশীদারদের উত্তরাধিকার নীতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।

মা কত ভাগ পাবে

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুসারে মা তিন অবস্থায় সম্পত্তি পেতে পারেন। প্রথমত, সন্তান বা পুত্রের সন্তানের উপস্থিতিতে অথবা মৃত সন্তানের আপন, বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় দুই বা ততোধিক ভাই-বোনের উপস্থিতিতে মা ১/৬ অংশ সম্পত্তি পান।

কিন্তু কোনো সন্তান বা পুত্রের সন্তানের অনুপস্থিতিতে এবং মৃত সন্তানের ভাইবোনের সংখ্যা একজনের বেশি না হলে মা ১/৩ অংশ পাবেন। আবার এই অবস্থায় যদি মৃত সন্তানের স্বামী বা স্ত্রী ওয়ারিশ হয় মা অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে ১/৩ অংশ পাবেন।

আপন বোন

আপন বোন একজন থাকলে এককভাবে ১/২ অংশ এবং একাধিক আপন বোন থাকলে একত্রে ২/৩ অংশ পান। কিন্তু আপন ভাইয়ের অস্তিত্ব থাকলে ভাইয়ের সঙ্গে অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে ২:১ হারে সম্পত্তি পান।

কিন্তু মৃত ব্যক্তির সন্তান বা পুত্রের নিম্নগামী সন্তান, পিতা বা পিতার ঊর্ধ্বগামীর উপস্থিতিতে আপন বোন উত্তরাধিকার হতে বাদ পড়ে। এমনকি মৃত ব্যক্তির এক বা একাধিক কন্যা বা পুত্রের কন্যার উপস্থিতিতে ও আপন বোন উত্তরাধিকার হতে বাদ পড়ে।

বৈমাত্রেয় বোন

আপন বোনের মতই একজন বৈমাত্রেয় বোন ১/২ অংশ, একাধিক বৈমাত্রেয় বোন একত্রে ২/৩ অংশ সমানভাগে পায়। কিন্তু একজন মাত্র আপন বোন থাকলে বৈমাত্রেয় বোন যতজনই থাকুক শুধু ১/৬ অংশ পাবেন। আবার বৈমাত্রেয় ভাই থাকলে অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে ২:১ হারে সম্পত্তি পাবে।

কিন্তু মৃত ব্যক্তির সন্তান বা পুত্রের সন্তান, পিতা বা তার ঊর্ধ্বগামী, একাধিক আপন বোন কিংবা ভাইয়ের উপস্থিতিতে বৈমাত্রেয় বোন বাদ পড়বে।

বৈপিত্রেয় ভাই ও বোন

মৃত ব্যক্তির সন্তান বা পুত্রের সন্তান কিংবা পিতা বা পিতামহের উপস্থিতিতে বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন উত্তরাধিকার হতে বাদ পড়ে। এ ছাড়া একজন বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন ১/৬ অংশ এবং একাধিক ভাই বোন একত্রে ১/৩ অংশ সমানভাবে পাবে।

অবশিষ্টাংশভোগীদের উত্তরাধিকার

এরা দ্বিতীয় শ্রেণির ওয়ারিশ। শুধু অংশীদারের অনুপস্থিতিতে বা অংশীদারদের মধ্যে বণ্টনের পর কিছু অবশিষ্ট থাকলেই এই শ্রেণির ওয়ারিশরা সম্পত্তি পেয়ে থাকেন। অবশিষ্টাংশভোগীদের সবাই মৃত ব্যক্তির পিতৃবংশের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে পুরুষ সদস্যরা নিজ অধিকারসূত্রে এই শ্রেণির অন্তর্গত। যেমন, পুত্র বা পুত্রের পুত্র বা আপন ভাই এবং বৈমাত্রেয় বোন।

আবার, পুরুষ আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে চারজন নারী, পুরুষের অর্ধেক হিসেবে সম্পত্তি লাভ করে থাকেন। যেমন, কন্যা পুত্রের সঙ্গে, আপন বোন আপন ভাইয়ের সঙ্গে বা বৈমাত্রেয় বোন, বৈমাত্রেয় ভাইয়ের সঙ্গে অর্ধেক হিসেবে অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে সম্পত্তি লাভ করেন যদিও পুরুষ সদস্যের অনুপস্থিতিতে এরা সবাই অংশীদার হিসেবে সম্পত্তি লাভ করে।

দূরবর্তী আত্মীয়রা

উপরের দুই শ্রেণির অনুপস্থিতিতে দূরবর্তী আত্মীয়রা সম্পত্তি লাভ করেন। এর মধ্যে এক নম্বর উপশ্রেণির সদস্য হল মৃত ব্যক্তির কন্যার বংশধর, পুত্রের কন্যার বংশধর। দ্বিতীয় উপশ্রেণির সদস্য হল মৃত ব্যক্তির পূর্বপুরুষ যেমন- অপ্রকৃত দাদা, নানা, দাদি বা নানি বা তাঁর ঊর্ধ্বগামীরা। তৃতীয় উপশ্রেণির সদস্য হলো মৃত ব্যক্তির পিতামাতার বংশধর যেমন- সহোদর, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের কন্যা বা তাদের সন্তানরা। সর্বশেষ শ্রেণির সদস্য হল মৃত ব্যক্তির নিকটবর্তী পিতামহ ও মাতামহের বংশধর যেমন- আপন চাচার কন্যা বা তাদের বংশধর, পিতার বৈমাত্রেয় ভাইয়ের কন্যা বা তাদের বংশধর।

লেখক : মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক।

ভূমি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত! “পর্চা”, “দাগ”, “খতিয়ান”, “মৌজা”, “জমা খারিজ”, “নামজারি”, “তফসিল” ইত্যাদি বিষয়ের ডেফিনেশন এবং জেনে নিন ভূমি বিষয়ক জরুরী সব তথ্য

!“নামজারী” বা মিউটেশন কাকে বলে?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়

!“জমা খারিজকাকে বলে?

যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে

!“খতিয়ান” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে

খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান

ভূমি জরিপ: CS, RS, PS, BS কি?

!ভূমি বা Land কাকে বলে?

ভূমি কাকে বলে?”- এর আইনী সংজ্ঞা রয়েছে The State Acquisition and Tenancy Act, 1950- এর (১৬)- ধারা মতে, “ভূমি (land) বলতে আবাদিঅনাবাদি অথবা বছরের যেকোন সময় পানিতে ভরা থাকে এবং ভূমি হতে প্রাপ্ত সুফলঘরবাড়ি বা দালান কোঠা বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য দ্রব্য অথবা স্হায়ীভাবে সংযুক্ত দ্রব্য এর অন্তর্ভুক্ত বুঝাবে

ভূমি জরিপ/রেকর্ড কাকে বলেভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত

আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ

এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয় একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয় এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিতএর খতিয়ান নাম্বারভূমির দাগ নাম্বারমালিক  দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে রেকর্ড বা জরিপ

প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ানইত্যাদি আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;

1. CS -Cadastral Survey

2. SA- State Acquisition Survey (1956)

3. RS -Revitionel Survey

4. PS – Pakistan Survey

5. BS- Bangladesh Survey (1990)

সি.এসজরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)

সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৯ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয় এই জরিপে বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সমস্ত জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয় প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভূল হিসেবে গ্রহণযোগ্য মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়

এস.জরিপ (State Acquisition Survey)

১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ  প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদের প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল

জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল

আর.এসজরিপ ( Revisional Survey)

সিএসজরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয় জমিমলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে  জরিপ সম্পন্ন করা হয় পূর্বেও ভুল ত্রুটি সংশোধনক্রমে এস জরিপ এতই শুদ্ধ হয় যে এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আরএস জরিপের উপর নির্ভর করা হয় এর খতিয়ান  ম্যাপের উপর মানুষ এখনো অবিচল আস্থা পোষন করে

সিটি জরিপ (City Survey)

সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ আর.এসজরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে  জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়  যবত কালে সর্বশেষ  আধুনিক জরিপ এটি  জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট  পকাশিত হয়

!“পর্চা” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা  তাকে “মাঠ পর্চা” বলে এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয় আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে

!“মৌজা” কাকে বলে?

যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রামইউনিয়নপাড়ামহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে

!“তফসিল” কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে তফসিলেমৌজার নামনাম্বারখতিয়ার নাম্বারদাগ নাম্বারজমির চৌহদ্দিজমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে

!“দাগ” নাম্বার কাকে বলেযখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয় আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে মূলতদাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়

১০!“ছুটা দাগ” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাকে ছুটা দাগ বলে আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুনসংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে

১১!“খানাপুরি” কাকে বলেজরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে

১২!“আমিন” কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা  খতিয়ান প্রস্তত  ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে

১৩!“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?

ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ  মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে

১৪!“খাজনা” ককে বলে?

সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে

১৫!“দাখিলা” কাকে বলে?

ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়

১৬!"DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে

১৭!“কবুলিয়ত” কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে

১৮!“নাল জমি” কাকে বলে?

/ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়

১৯!“খাস জমি” কাকে বলে?

সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে

২০!“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?

হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধদ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে

২১!“ওয়াকফ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয়  সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে

২২!“মোতওয়াল্লী” কাকে বলে?

যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা  তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না

২৩!“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?

হিন্দুধর্ম মতেধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে

২৪!“ফরায়েজ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম  প্রক্রিয়াকে ফরায়েজ বলে

২৫!“ওয়ারিশ” কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী  ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে তার স্ত্রীসন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে

২৬! “সিকস্তি” কাকে বলে?

নদী ভাঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকস্তি বলে সিকস্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকস্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন

২৭!“পয়ন্তি” কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে

২৮!“দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয় তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন  রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে

ভূমির পরিমাপঃ

ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতকঃ

***************************

 শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট

 শতাংশ =১০০০ বর্গ লিঙ্ক

 শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ

 শতাংশ =  কাঠা = ২১৭৮ বর্গফুট

১০ শতাংশ =  কাঠা = ৪৩৫৬ বর্গফুট

১০০ শতাংশ =  একর =৪৩৫৬০বর্গফুট

কাঠা পরিমাপঃ

****************

 কাঠা = ৭২০ বর্গফুট/৭২১.৪৬ বর্গফুট

 কাঠা = ৮০ বর্গগজ/৮০.১৬ বর্গগজ

 কাঠা = .৬৫ শতাংশ

২০ কাঠা =  বিঘা

৬০. কাঠা = একর

একরের পরিমাপঃ

******************

 একর = ১০০ শতক

 একর = ৪৩,৫৬০ বর্গফুট

 একর = ,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক

 একর = ,৮৪০ বর্গগজ

 একর = ৬০. কাঠা

 একর =  বিঘা  ছটাক

 একর = ১০ বর্গ চেইন = ,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক

 একর = ,০৪৭ বর্গমিটার

 শতক = . গন্ডা বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট

বিঘা পরিমাপঃ

*************

 বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট /১৪৫২০বর্গফুট

 বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক

 বিঘা = ৩৩ শতাংশ

 বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ/১৬১৩ বর্গগজ

 বিঘা = ২০ কাঠা

 বিঘা  ছটাক = .০০ একর

লিঙ্ক পরিমাপঃ

****************

১লিঙ্ক = . ইঞ্চি /.৯২ ইঞ্চি

১লিঙ্ক =.৬৬ ফুট

১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট

১০০ লিঙ্ক =  গান্টার শিকল

১০০০ বর্গ লিঙ্ক =  শতক

,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক =  একর

কানি একর শতকে ভূমির পরিমাপঃ

*******************************

 কানি = ২০ গন্ডা

 গন্ডা =  শতক

 শতক = কড়া

 কড়া =  কন্ট  কন্ট = ২০ তিল

ফুট এর হিসাবঃ

*****************

 কানি = ১৭২৮০ বগফুট

 গন্ডা = ৮৬৪ বফু

 শতক৪৩৫.৬০ বফু

 কড়া = ২১৭. বফু

 কন্ট = ৭২ বফু

 তিল. বফু

বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ  একরের পরিমাণঃ

*********************************

৪৮৪০ বর্গগজ =  একর

৪৩৫৬০ বর্গফুট একর

১৬১৩ বর্গগজ বিঘা

১৪৫২০বর্গফুট =  বিঘা

৪৮.৪০ বর্গগজ = ০১ শতাংশ

৪৩৫.৬০ বর্গফুট০১ শতাংশ

৮০.১৬ বর্গগজ কাঠা

৭২১.৪৬ বর্গফুট =  কাঠা

.০১ বর্গগজ =  ছটাক

২০ বর্গহাত =  ছটাকা

১৮ ইঞ্চি ফুট হাত (প্রামাণ সাই)

শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন

 



মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন আছে প্রয়োগ নেই 


প্রকাশিত: ২১:০৭, ৪ জুন ২০২৩

মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন আছে প্রয়োগ নেই 

.

মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন আছে প্রয়োগ নেই

.মাদক শব্দটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। ফেসবুকের নিউজফিডে, পত্র-পত্রিকায় প্রতিনিয়ত উঠে আসে মাদকের ভয়াবহ কুফলের সংবাদ। এছাড়াও মাদক সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনার খবর প্রায়শ সরাসরি আমরা শুনতে পাই। মাদকের প্রভাব ও পরিণতি অনেক ভয়াবহ। এর কুফল ও ভয়াবহ পরিণাম থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন আইন।

 তারই ধারাবাহিকতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ রহিতক্রমে সর্বশেষ তৈরি হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮। এটি ২০১৮ সালের ৬৩ নং আইন। মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে বিধান প্রণয়ন এবং অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য এই আইন প্রণীত হয়। তবে বাস্তবে এই আইনের প্রতিফলন খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি আপামর সাধারণ জনগণও এই ধরনের অপরাধগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে এমন অনেক আইনই আছে যেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না।

 বলা হয়ে থাকে আইন সবার জন্য সমান। অথচ আমাদের সমাজের অনেক প্রভাবশালী নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবন করে চলেছে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার কাছে হার মেনে যাচ্ছে এই আইনের উদ্দেশ্য ও প্রয়োগ। মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা, মাদকদ্রব্য সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে আমরা দেখি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় ও জনসচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় এই অপরাধ প্রবণতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে নকল মেডিক্যাল ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মাদক ক্রয় ও সেবন করে থাকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ১১ ধরার উপধারা (২) অনুসারে, অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশেষ শ্রেণির ব্যক্তিদের বিশেষ মাদকদ্রব্য সমূহ গ্রহণের সুযোগকে অনেকে পুঁজি করে নিজেদের অনৈতিক উদ্দেশ্যকে হাসিল করছে।

 

২০১৮ সালের এই মাদক আইন ভঙ্গ করার কারণে শাস্তির বিধান সর্বনিম্ন শাস্তি ৩ মাসের কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা মৃত্যুদন্ড এবং অর্থদন্ড। এখানেও আইনের প্রয়োগহীনতা দেখতে পাওয়া যায়। নিজ ক্ষমতাবলে অনেকেই পার পেয়ে যায় এবং এই অপরাধ পুনরায় সংগঠিত করার মতো জঘন্য অপরাধ করে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত মাদকের উৎপাদন ও মাদকসেবীর সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

আবার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তাহলে দন্ড হিসেবে অনধিক ৩০০ (তিনশত) টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, ঐ ব্যক্তি যদি দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন একই অপরাধ করেন তাহলে তিনি পর্যায়ক্রমে উক্ত দন্ডের দ্বিগুণ হারে দন্ডনীয় হবেন। কিন্তু এই আইনেরও সঠিক প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই না। বাস্তবে প্রায় সবখানেই অনেককে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়, যেন এটি এখনও একটি স্বাভাবিক বিষয়।

 

তরুণ প্রজন্মকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলা হলেও বর্তমানে তরুণ সমাজ ও যুবসমাজ প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে মাদকাসক্ত হয়ে এবং মাদক অপরাধে যুক্ত হয়ে। যা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ। বর্তমানে আমাদের দেশের একটি প্রধান সমস্যা ‘বেকারত্ব’। যার ফলস্বরূপ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে মাদকসেবী হয়ে পড়ছে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী। অবশ্য মেয়েদের মাদকাসক্তির সংখ্যা সীমিত।

 

প্রকৃতপক্ষে মাদকের সহজলভ্যতা, আইন প্রয়োগে শিথিলতা, নতুনত্বের প্রতি আকাক্সক্ষা প্রভৃতি মাদকাসক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। তাই এখনই যদি মাদক সেবনের এই ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা সৃষ্টি না করা যায় বিশেষ করে যুবসমাজে, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাদক সেবনের শাস্তি ও সর্বত্র এই সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ যদি সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়, তাহলে জনসচেতনতা বেশি বৃদ্ধি পাবে, মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্তি পাবে লাখো মাদকসেবী।

 

লেখক : সমাজকর্মী

Tense বা কাল

 

ক্রিয়ার কাল কে Tense বলা হয় অর্থাৎ কোন কাজ সম্পাদনের সময়কে tense বা কাল বলে Tense দ্বারা সময়কে উল্লেখ করা হয় এবং যা বর্তমান, অতীত কিংবা ভবিষ্যত হতে পারে

 

 

Example:–

 

1. I eat rice. (present) আমি ভাত খাই (বর্তমান)

 

2. I ate rice. (past) আমি ভাত খেয়েছিলাম৷ (অতীত)

 

3. I will eat rice. (future) আমি ভাত খাবো৷ (ভবিষ্যত)

 

এখানে উপরের বাক্য গুলোতে যথাক্রমে বর্তমান, অতীত ভবিষ্যৎ কাজের কথা নির্দেশ করে

 

 

Types of Tense: (Tense এর প্রকার)

 

Tense  কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় :-

 

1. Present tense (বর্তমান কাল). (what are you presently doing )

 

2. Past Tense (অতীত কাল) .(What you did some time back).

 

3. Future Tense (ভবিষ্যত কাল). (What you will do some time later).

 

 

এদের প্রত্যেক কে আবার চারভাগে ভাগ করা যায়-

 

1. Indefinite Tense (সাধারণ কাল)

 

2. Continuous Tense (ঘটমান কাল)

 

3. Perfect Tense (পুরাঘটিত কাল)

 

4. Perfect Continuous Tense (পুরাঘটিত বর্তমান কাল)

 

      

Present Tense (বর্তমান কাল)

 

A. Present Indefinite Tense:

কোন কাজ বর্তমানে হয় বোঝালে বা অভ্যাসগত সত্য বোঝালে বাচিরসত্য বোঝালে Present Indefinite Tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে , , , , , এন, এস, আন, আয় ইত্যাদি থাকে

 

Structure:

 

Subject + Main Verb + Object.

 

উদাহরণ:

 

·         আমি ভাত খাই – I eat rice.

·         আমি স্কুলে যাই – I go to school.

·         সে প্রতিদিন স্কুলে যায় – He goes to school every day.

·         তুমি বই পড় – You read a book.

·         সে প্রতিদিন রাত দশ টায় ঘুমাতে যায় – He goes to bed at ten pm every day.

·         সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয় – The sun rises in the East.

·         জল শূন্য ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেডে জমাট বাধে – Water freezes at 0° centegrade.

 

Note: Subject third person singular number (he, she, it, কোন ব্যক্তি, বস্তু, জায়গা বা প্রাণীর নাম বোঝালে verb এর শেষে s বা es বসে

 

 

মনে রেখো:

 

1.    I/we – First Person

 

2.    You/your – Second person

 

•      He/she ,it, they সমস্ত নাম – Third Person

 

 

B. Present Continious Tense:

 

বর্তমানে কোন কাজ চলছে বা নিকট ভবিষ্যতে চলবে এরূপ বোঝালে present continuous tense হয়

 

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়া বা verb এর শেষে তেছি, তেছ, তেছে, তেছেন, চ্ছ, চ্ছি, চ্ছে, চ্ছেন, ছি, ছেন, ইত্যাদি থাকে

 

Structure:

 

Subject + be verb বা Am/is/are (number person অনুযায়ী বসবে) + verb + ing + object.

 

 

 

Example:

·         আমি ভাত খাইতেছি – I am eating rice.

·         আমি স্কুলে যাইতেছি – I am going to school.

·         সে স্কুলে যাইতেছে – He is going to school.

·         তুমি/ তোমরা বই পড়িতেছ – You are reading book.

·         আমি আজ রাতে আংরাইলে যাব – I am going to Angrail tonight. (Near future বা নিকট ভবিষ্যত)

·         আপনি কি আজ বিকালে মীটিং আসছেন – Are you coming to the meeting this afternoon? (Near future)

C. Present Perfect Tense:

 

কোন কাজ শেষ হয়েছে অথচ তার ফল এখনও বর্তমান আছে (অপ্রকাশিত), এরূপ বোঝালে Present perfect tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে য়াছ, য়াছে, য়াছি, য়াছে, য়াছেন, য়েছ, ইয়াছ, ইয়াছি, ইয়াছে, ইয়েছ, ইয়াছেন ইত্যাদি বসে। এছাড়া করিনি, করি নাই, খাইনি, খাই নাই, বোঝালে Present perfect tense হয়

 

 

Structure:

 

Subject + have/has + past participle + object.

 

 

Example:

·         আমি ভাত খাইয়াছি – I have eaten rice.

·         আমি স্কুলে গিয়েছি – I have gone to school.

·         সে স্কুলে গিয়েছি – He has gone to school.

·         আমি ভাত খাইনি – I have not eaten rice.

·         তারা/তাহারা কাজটি করিয়াছে – They have done the work.

·         সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়েছে – He/she has studied for hours.

·         তারা এইমাত্র ফুটবল খেলিয়াছে – They have just played football.

·         সে এইমাত্র ফুটবল খেলিয়াছে – He has just played football.

 

Note: Subject third person singular number (he, she, it কোন ব্যক্তি, বস্তু, জায়গা বা প্রাণীর নাম) বোঝালে has বসবে I, we, you, they এবং অন্যসব plural subject এর শেষে have বসবে

 

 

D. Present Perfect Continuous Tense

 

কোন কাজ পূর্বে আরম্ভ হয়ে এখনও চলছে এরূপ বোঝালে Present perfect continuous tense হয়

 

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে তেছ, তেছি,তেছে, তেছেন, চ্ছ, চ্ছি, চ্ছে, চ্ছেন, ছ্, ছি্, ছে্, ছে্ন ইত্যাদি উল্লেখ থাকে এবং তার সাথে সময়ের উল্লেখ থাকে

 

Structure:

 

Subject + has been/have been + main verb + ing + since/from/for + object.

 

 

Example:

 

·         আমি দুই দিন ধরে কাজটি করিতেছি – I have been doing this work for two days.

·         সে দুই ঘণ্টা যাবৎ পড়িতেছে – He has been reading for two hours. (নির্দিষ্ট সময়)

·         সে সকাল থেকে পড়িতেছে– He has been reading since mourning.

·         সে তিন বছর যাবৎ এই স্কুলে পড়িতেছে – He/She has been reading in this school for three years.

·         ছেলেবেলা হতে সে এখানে বাস করিতেছে – He has been living here from his boyhood.

·         ফাহিম গত সোমবার হইতে জ্বরে ভুগিতেছে – Fahim has been suffering from fever since sunday last.

 

Note: Subject third person singular number (he, she, it কোন ব্যক্তি, বস্তু, জায়গা বা প্রাণীর নাম) বোঝালে has been বসবে I, we, you, they এবং অন্যসব plural subject এর শেষে have been বসবে

 

Note: 

·         এক্ষেত্রে since ব্যাবহার হবে শুধুমাত্র point of time (past tense) এর ক্ষেত্রে

·         দিন কিংবা বার এর ক্ষেত্রে since or from হয়

·         সব tense এর ক্ষেত্রে from ব্যাবহার করা যায়

·         অনেক বেশি সময় এর ক্ষেত্রে, কোন ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে from ব্যাবহার হয়

·         Period of time এর ক্ষেত্রে অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাপ্তি বোঝাতে for ব্যাবহার হয়

 

Past Tense (অতীত কাল)

 

 

(A) Past Indefinite Tense:

 

অতীত কালের কোন কাজ বোঝাতে বা অতীতের কোন অভ্যাস বোঝাতে, যার ফল বিদ্যমান নেই তাকে Past Indefinite Tense বলে

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে , লাম, , তাম, তে, তেন এদের যে কোন একটি যোগ থাকে। যেমন ( করেছিল, করিয়াছিল, করেছিলাম, করিয়াছিলাম, করেছিলে, করিয়া ছিলে, করেছিলেন, করিয়াছিলেন, পড়িল, পড়িলাম, পড়িলেন, পড়িত, পরিতেন)

 

Structure:

 

Subject + past form of main verb + object.

 

Example:

 

·         আমি ভাত খাইয়াছিলাম/খেয়েছিলাম – I ate rice.

·         আমি স্কুলে গিয়েছি/গিয়েছিলাম – I went to school.

·         সে স্কুলে গিয়েছে/গিয়েছিল – He went to school.

·         তুমি/ তোমরা কাজটি করেছিলে/করিয়াছিলে- You did the work.

·         তার ছেলেবেলা লন্ডন কেটেছিল – He spent his boyhood in London.

·         লুনা একটি গান গেয়েছিল – Luna sang a song.

·         সে ফুটবল খেলেছিল – He played football.

 

Note: Past indefinite tense যুক্ত কোন sentence যদি main verb না থাকে তাহলে সেখানে be verb main verb হিসেবে ব্যাবহার হবে

(B) Past Continuous Tense:

 

অতীতকালে কোন কাজ কিছুক্ষণ ধরে চলছিল এরূপ বোঝালে Past continuous tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে তেছিল, তেছিলাম, তেছিলে, তেছিলেন, চ্ছিল, চ্ছিলে, চ্ছিলেন, ছিল, ছিলাম, ছিলে, ছিলেন, এদের যে কোন একটি যোগ থাকে

 

Structure:

 

Subject + was/were + main verb + ing + object.

 

Example:

 

·         আমি ভাত খাইতেছিলাম/খাচ্ছিলাম – I was eating rice.

·         সে স্কুলে যাইতেছিল/যাচ্ছিল – He was going to school.

·         তারা ফুটবল খেলিতেছিল/খেলছিল – They were playing football.

·         গতকাল সন্ধায় সে ঢাকা যাইতেছিল – He was going to Dhaka last evening.

·         আমি একা একা গান গাইতেছিলাম – I was singing song alone.

 

Note: subject first person and third person singular number হলে was বসবে। we, you, they এবং অন্যান্য plural number এর শেষে were বসবে

 

(C) Past Perfect Tense:

 

অতীত কালে দুটি কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকলে তাদের মধ্যে যেটি আগে ঘটেছিল তা Past perfect tense হয় এবং যেটি পরে হয়েছিল তা simple past tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে কোন নির্দিষ্ট অতীত ঘটনার পূর্বে, ছিল, ছিলাম, ছিলে, ছিলেন, , লাম, লে, লেন, তাম, তে, তেন এদের যে কোন একটি যোগ থাকে

 

Structure:

 

1st subject + had + verb এর past participle + 2nd subject + verb এর past form +2nd object.

 

Example:

·         আমি ভাত খাওয়ার পূর্বে সে বাড়ি আসল – He had come home before I ate rice.

·         আমি স্কুলে যাওয়ার পূর্বে সে মারা গেল – He had died before I went to school.

·         ঘণ্টা পড়ার পূর্বে তারা স্টেশনে পৌঁছল – They had reached the station before the bell rang.

·         ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগীটি মারা গেল – The patient had died before the doctor came.

·         ডাক্তার আসিবার পরে রোগীটি মারা গেল – The doctor had come before the patient died.

·         বিছানায় শুতে যাবার পূর্বে আমি দরজাটা বন্ধ করিলাম – I had shut the door before I got into bed.

 

(D) Past Perfect Continuous Tense:

 

অতীতকালে কোন কাজ কোন বিশেষ সময়ের পূর্বে আরম্ভ হয়ে সেই সময় পর্যন্ত চলছিল বোঝালে Past perfect continuous tense হয়। এখানে যদি দুটি ক্রিয়া উল্লেখ থাকে তাহলে যে কাজটি আগে চলছিল তা Past perfect continuous tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে তেছিল, তেছিলে, তেছিলাম, তেছিলেন, চ্ছিল, চ্ছিলাম, চ্ছিলে, চ্ছিলেন, এদের যে কোন একটি উল্লেখ থাকলে এবং অতীতের একটি সময় উল্লেখ থাকে। এক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে

 

) অতীতকালে দুটি কাজই হয়েছিল

 

) তাদের মধ্যে একটি পূর্বে এবং অপরটি পরে সংগঠিত হয়েছিল

 

) যেটি পূর্বে সংগঠিত হয়েছিল সেটি দীর্ঘ সময় ধরে চলিতেছিল

 

Structure:

 

1st subject + had been + main verb + ing + 1st object + 2nd subject + verb এর past form + 2nd object.

 

Example:

·         সে যখন আসিল তখন আমি ভাত খাইতেছিলাম – I had been eating rice when he came.

·         ঘণ্টা পড়ার পূর্বে আমরা খেলিতেছিলাম – we were playing before the bell rang.

·         আমি যখন তার সাথে দেখা করতে গেলাম তখন সে বই পরিতেছিল – He had been reading book when I went to met with him/her.

·         তুমি যখন তোমার বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলে তখন তোমার মা তোমার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল – your mother had been waiting for you when you went to your friend’s home.

·         সে যখন খেলা দেখছিল তখন আমি ঘুমিতেছিলাম – I had been sleeping when he saw the game.

Future Tense (ভবিষ্যত কাল)

 

 

 

Future Indefinite Tense:

 

ভবিষ্যতে কোন কাজ ঘটবে এরূপ বোঝালে Future indefinite tense

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে বে, , বা, বি, বেন এদের যে কোন একটি উল্লেখ থাকে

 

Structure:

 

Subject + shall/will + verb + object

 

Example:

·         আমি কাজটি করিব- I will/shall do the work.

·         তারা কাজটি করিবে- They will/shall do the work.

·         আমি বিদ্যালয়ে যাব (যাবই)- I shall go to the school.

·         সে বিদ্যালয়ে যাবে (যাবেই)- He will go to the school.

·         তারা বাজারে যাইবে (যাবে) – They will go to the market.

 

Note: সাধারনত 1st person এর পর shall বসে। এছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে will বসালেও চলবে

 

 

 

Future Continuous Tense:

 

ভবিষ্যৎ কালে কোন কাজ চলতে থাকবে এরূপ বোঝালে Future continuous tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে তে থাকিব, তে থাকিবে, তে থাকিবা, তে থাকিবেন এদের যে কোন একটি যুক্ত থাকে

 

Structure:

 

Subject + shall be/will be + main verb + ing + object.

 

Example:

·         আমি বইটি পড়িতে থাকিব – I shall be reading the book.

·         আমি গান গাইতে থাকিব- I shall be singing the song.

·         তারা ফুটবল খেলিতে থাকিবে- They will be playing football.

·         সে কাজটি করিতে থাকিবে- He will be doing the work.

·         তুমি/ তোমরা স্কুলে যাইতে থাকিবে- they will be going to school.

·         তিনি অফিসে যাইতে থাকিবেন- He will be going to office.

 

Future Perfect Tense:

 

ভবিষ্যৎ কালে কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন কাজ হয়ে যাবে বোঝালে বা দুটি কাজের মধ্যে একটি আগে হবে বোঝালে Future perfect tense হয়

 

ভবিষ্যৎ কালের দুটি কাজের মধ্যে যে কাজটি আগে হবে তা Future perfect tense হয় এবং পরেরটা simple present tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে য়া থাকিব, য়া থাকিবা, য়া থাকিবে, য়া থাকিবেন, এদের যে কোন একটি যোগ থাকলে Future perfect tense হয়

 

Structure:

 

1st subject + shall have/will have + verb এর past participle + 1st object + before + 2nd subject + main verb + 2nd object.

 

Example:

·         বাবা আসার আগে আমি কাজটি করিয়া থাকিব – I shall have done the work before my father comes.

·         আমি বিকাল চারটার মধ্যে বইটি পড়িয়া থাকিব – I shall have finished reading the book by 4. P. m.

·         তুমি যাওয়ার পূর্বে আমি গান গাইয়া থাকিব- I shall have sang a song before you leave.

·         তারা আসার পূর্বে আমি পরা শেষ করিব – I shall have finished my lesson before they come.

 

Future Perfect Continuous Tense:

 

ভবিষ্যৎ কালে কোন সময়ের মধ্যে কোন কাজ চলতে থাকবে এরূপ বোঝালে future perfect tense হয়

 

ভবিষ্যৎ কালে দুটি কাজের মধ্যে যে কাজটি আগে চলতে থাকবে তা future perfect tense হয় যে কাজটি পরে হবে তা simple present tense হয়

 

বাংলায় চিনার উপায়:

 

বাংলায় ক্রিয়ার শেষে তে থাকিব, তে থাকিবে, তে থাকিবা, তে থাকিবেন এদের যে কোন একটি উল্লেখ থাকে

 

Structure:

 

Subject – 1st subject + shall have been/will have been + main verb + ing + 1st object + 2nd subject + main verb + 2nd object.

 

Example:

·         তুমি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকব- we shall have been waiting for you until you come back.

·         বাবা আসার আগে আমি কাজটি করিতে থাকিব- I shall have been doing the work before my father comes.

·         তারা আসার আগে আমি খেলিতে থাকিব- I shall have been playing before they come.

·         সে ডিগ্রি পাওয়ার পূর্বে চার বছর রবীন্দ্রভারতি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে থাকবে – he will have been studying at Rabindrabharati university for four years before he gets degree.

 

 



 কোভিড 19 ব্যবসায় সমস্যার সমাধান।আল্লাহর হাতের ইশারা ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। কোন বিচারপতির বিচারকার্য করার জন্য নয়। ডাক্তার, কবিরাজ, বৈজ্ঞানিক  মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়।
কয়েক জন ম্যাজিষ্ট্রেট সই দিয়ে দিলে জাল টাকা আর জাল থাকে না। 

আমরা মাধ্যমিক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমরা কাজ করে খেটে খাইতে জানি। সকল স্কুল বোর্ড পিটাইলে উচ্চ  মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া আর কিছুই জোঠে না।তাই আমরা কারো শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারিনা সব কিছুতেই একটা আলাদা আইনবাজী।
আন্তর্জাতিক আইন আদালত কোর্টে গরু, ছাগল,হাঁস, মুরগি দিয়ে ও জাজ মেনটেন করা যায়

SO I AM NOT AFRIED
সকল দেশের সকল ভাষা আমরি বাংলা ভাষা
নিয়ম নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ম প্রবাহ জারি পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তরেই সাধারণ ক্ষমা সাধারন সেবা বাধ্যতামূলক। সরকারি টাকা থাকবে সরকারি কোষাগারে আমি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা পিঁপড়া দিয়ে খাওয়াতে চাই না।








আমি আমার সমস্ত সোসাল মিডিয়া, ব্লগার, ওয়েব সাইড পেজে আইন অনুযায়ী পায়খানা জারী করে রেখেছি অতএব সবাই সাবধান???

















         











https://fb.watch/3Ds5doKjkE/